আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্র (সিমিট) আয়োজিত ‘এগ্রিকালচার মেশিনারি এ্যান্ড ক্রোপ প্রোডাকশন টেকনোলজি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপি উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আজ (০৮ মে) বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ বিডিএস’র সম্মেলনকক্ষে শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ। সিমিটের হাব কো-অর্ডিনেটর হীরা লাল নাথের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ওহাব, ডিএই’র কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি এস. এম. নাহিদ বিন রফিক, সিমিট-আইডি বাংলাদেশ’র ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. মিজানুর রহমান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. এলানুজ্জামান কুরাইশি প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর যাও পাওয়া যাচ্ছে শ্রমের মজুরি অধিক হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। যে কারণে কেউ কেউ চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ থেকে উত্তোরণের জন্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের বিকল্প নেই। এতে শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। শস্যের অপচয়ও হ্রাস পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা থাকলে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ হতে ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব। আসলে কৃষি যন্ত্রপাতি চাষির আশ্বির্বাদ। জমি কর্ষণ থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বিরাজমান। এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণে ভোলা জেলার ২০ জন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সিমিট নামক এ প্রতিষ্ঠানটি গম ও ভুট্টা চাষ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন: রিপার, পিটিওএস (পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার), এএফপি (একসিয়াল ফ্লো পাম্প) এসব নিয়ে কাজ করছে। চার ব্যাচের এ প্রশিক্ষণে প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে মোট অংশগ্রহণকারির সংখ্যা ৮০ জন। পরবর্তী ব্যাচগুলোর মধ্যে মার্চের ১৭-১৮ তারিখ বরিশাল ও পটুয়াখালী, ২১-২২ তারিখ বরিশাল ও ঝালকাঠি এবং ২৩-২৪ তারিখ পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।